এই ‘কী আসে যায়’ ভাবার সুবিধাটা আজকের ম্যাচে শুধুই বাংলাদেশের। আফগানিস্তান খেলতে নামবে কখনো যা করতে পারেনি, সেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে। বাংলাদেশের জন্য যেখানে এটা পড়ে পাওয়া একটা সুযোগ, যাতে কাজে লাগানো সম্ভব নয় বলেই ধরে নিয়েছেন বেশিরভাগ মানুষ। এই ম্যাচে বাংলাদেশের হারানোর কিছু নেই। চাপ যা, তার সবই আফগানিস্তানের ওপর।
এমনিতে আগামী ২৬ জুন প্রথম সেমিফাইনালের দিন বাংলাদেশ দলের দেশে ফেরার ফ্লাইট ঠিক হয়ে আছে। সেন্ট ভিনসেন্ট থেকে মায়ামি। সেখান থেকে দুবাই হয়ে ঢাকা। সেই ফ্লাইটে ওঠার বদলে ত্রিনিদাদে আসার বিমানে উঠতে হলে একরকম অসম্ভবকে সম্ভব করতে হবে।
অস্ট্রেলিয়ার কথাটা একবার ভেবে দেখুন। ত্রিনিদাদ, না দেশে ফেরার ফ্লাইট–এই প্রশ্ন তো ঘুরপাক খাচ্ছে যেকোনো বিশ্বকাপে ফেবারিট হিসেবে শুরু করা এই দলেও। সেন্ট লুসিয়ায় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে জেতার পর ভারতের সেদিন বিকালেই সেমিফাইনাল খেলতে গায়ানা চলে গেছে। আর অস্ট্রেলিয়া বসে আছে সেন্ট লুসিয়াতেই। যে ম্যাচ নিয়ে এমনিতে হয়তো তাদের কোনো আগ্রহই থাকত না, সেই বাংলাদেশ-আফগানিস্তান দেখতে টেলিভিশনের সামনে থাকবেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের সবাই।
ত্রিনিদাদের বিমান না দেশে ফেরার–এই প্রশ্নের উত্তরও যে দেবে ওই ম্যাচ!