পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে বৃষ্টি ঋষি তার ভাই সোহাগ ঋষির সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়। বামনী গ্রামের ফুটবল খেলার মাঠ-সংলগ্ন কাঁচা রাস্তায় পৌঁছালে পা পিছলে ঢলের পানিতে পড়ে যায়। পরে স্রোতে সে ভেসে যায়। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেও তার কোনো সন্ধান পাননি। খবর পেয়ে কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান ও কলমাকান্দা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন। পরে তাঁদের চেষ্টায় ওই দিন বিকেলে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে একটি ডুবুরি দল এসে উদ্ধারে দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা চালায়, কিন্তু মেয়েটির খোঁজ মেলেনি। আজ রোববার দুপুরে রেজ্জাক মিয়া নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি ভাসমান অবস্থায় মেয়েটির মরদেহ দেখতে পান। পরে স্থানীয় লোকজন বৃষ্টির লাশ উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন।
কলমাকান্দা থানার ওসি (তদন্ত) মো. জালাল উদ্দিন বলেন, পাহাড়ি ঢলের স্রোতে ভেসে নিখোঁজ শিশু বৃষ্টির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যু নিয়ে অভিযোগ না থাকায় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ নিয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।