কামাল আহমেদের রিমান্ড চেয়ে করা আবেদনে ডিবি আদালতকে জানিয়েছে, আনোয়ারুল আজীম হত্যাকাণ্ডে প্রধান ভূমিকা রাখা শিমুল ভূঁইয়ার মুঠোফোন পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ১৫ মে শিমুল ভূঁইয়া কলকাতা থেকে বাংলাদেশে আসেন। ১৬ মে আনোয়ারুল আজীম হত্যার বিষয়ে মুঠোফোনে শিমুল ভূঁইয়া কাজী কামালের সঙ্গে কথা বলেন। পরে শিমুল ভূঁইয়া ও কাজী কামাল ফরিদপুরের ভাঙ্গায় একসঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। হোয়াটসঅ্যাপে আনোয়ারুল আজীমের ছবি বিনিময় করেন। ১৭ মে থেকে ১৯ মের মধ্যে এই দুজন হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলেন। খুদে বার্তা আদান-প্রদান করেন।
এসব তথ্যের ভিত্তিতে কাজী কামালকে গ্রেপ্তার করা হয় উল্লেখ করে ডিবি আবেদনে আরও বলেছে, পরে জিজ্ঞাসাবাদে শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথাবার্তা বলার কথা স্বীকার করেন কাজী কামাল। কামালের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এই তিনটি মুঠোফোন কোথায়? জবাবে তিনি বলেছিলেন, মুঠোফোন তিনটি হারিয়ে গেছে। এ বিষয়ে তিনি সাধারণ ডায়েরিও করেছেন। পরে কাজী কামাল ১৪ জুন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, দুটি মুঠোফোন তিনি ঝিনাইদহের গাঙ্গুলী হোটেলের পেছনের পুকুরে ফেলেছেন। আরেকটি মুঠোফোন ফেলেছেন স্টেডিয়ামের পেছনের পুকুরে।