‘সোমবার ভোরে (ফজরের নামাজের আগে) স্বপ্নে দেখি, আমার ছেলে লুৎফর দুর্ঘটনায় পড়ছে। এরপর ঘুম থাইক্যা উইঠা ওর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলি। আমারে বলল, ও (লুৎফর) ভালো আছে। মঙ্গলবার সাহ্রি খেয়ে লুৎফর আমারে ফোনে বলল, “আম্মা, বাড়িতে আসতাছি। বাড়িতে আইসা সবার জন্য ঈদের কাপড়চোপড় কিনা দিব।” আমার ছেলে বাড়িতে ঠিকই এল, কিন্তু জীবিত নয়, লাশ হইয়া। সঙ্গে আমার ছেলের বউ আর নাতিও লাশ হইয়া গেল। ওরা তিনজন দুর্ঘটনায় মইরা যাওয়ায় আমার পরিবারে ঈদের আনন্দ মাটি হইয়া গেছে। আমার দেখা দুঃস্বপ্নই সত্যি হইল।’
আজ বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতরের দিন শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর ইউনিয়নের দীঘিরপাড় গ্রামের বাড়িতে লুৎফর রহমানের হালিমা খাতুন (৬৫) এসব কথা বলেন। এ সময় স্বজনেরা হালিমাকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন। হালিমা দীঘিরপাড় গ্রামের মো. অহির আলীর স্ত্রী।