১৫ জুলাই থেকে আজকে পর্যন্ত প্রায় আড়াই মাসের বেশি অতিবাহিত হয়েছে। নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। এই কমিটির কার্যকর সুপারিশের ওপর নির্ভর করবে আগামীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চরিত্র। কমিটির বিস্তৃত ও দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য থাকলেও তাদের অনেক সময় দেওয়ার সুযোগ নেই। ১৫ জুলাই থেকে ঘটা ঘটনাগুলো উদ্ঘাটন করে, দ্রুত সত্যিকারের দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে এই কমিটিকে রাষ্ট্র ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন—উভয়কেই সহযোগিতা করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় এক সামাজিক সত্ত্বা। এখানে জাতি, ধর্ম ও জেন্ডার পরিচয়ের বিস্তৃত অবয়বের স্থান থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন রাজনৈতিক সমাজ নির্মাণের সহযোগি করে গড়ে তুলতে হবে। সমাজে রাজনৈতিক স্বপ্নের জন্য মানসিক তাড়না তৈরি না করলে সবই ব্যর্থ হতে পারে। বর্তমান রাজনৈতিক ভাবনাগুলো যাঁচাই করে তা বাস্তবায়নে যথার্থ কর্মসূচি আর তা তদারকের চৌকস কাঠামো এখনো প্রত্যক্ষভাবে সামনে আসেনি। সময় এত নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য এত সময় থাকেও না।
কাজী মোহাম্মাদ মাহবুবুর রাহমান, সহযোগী অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়