আইনজীবীরা জানান, গ্রেপ্তার এড়াতে কিংবা সাজামুক্ত থাকতে অনেকেই ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করছেন। নাম–ঠিকানা ভুল থাকলে পুলিশ সংশ্লিষ্ট আসামিকে খুঁজে পায় না। এর ফলে তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।
জাতীয় পরিচয়পত্রের ডেটাবেজে (তথ্যভান্ডার) ভোটারদের আঙুলের ছাপ সংরক্ষিত আছে। এ পদ্ধতিকে বলা হয় ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট আইডেন্টিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেম’। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় তথ্যভান্ডারে ওই আসামির নাম–ঠিকানা সংরক্ষিত নেই।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আঙুলের ছাপ নেওয়ার পর দেখা যায়, আসামি তিনবার তিনটি মামলায় কারাগারে এসেছেন। প্রথমবার সাদ্দাম হোসেন, দ্বিতীয়বার মো. সুমন ও তৃতীয়বার মো. শাহ আলম পরিচয়ে কারাগারে আসেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক জানিয়েছেন, তাঁর প্রকৃত নাম শাহ আলম। তাঁর দেওয়া দুটি নাম-ঠিকানা ভুয়া।