স্থানীয় বাসিন্দা ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত বুধ থেকে শনিবার রাত পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে জেলার ছোট-বড় সব নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকে। শেরপুরের ভোগাই ও কংস নদের পানি জারিয়া এলাকা হয়ে কলমাকান্দায় উব্দাখালী নদীতে প্রবাহিত হয়। এতে ৫টি উপজেলায় ১২৩টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় বেশি ক্ষতি হয়েছে দুর্গাপুরের কুল্লাগড়া, কাকৈইগড়া ও গাঁওকান্দিয়া; কলমাকান্দার লেঙ্গুরা, খারনৈ, কৈলাটি, পোগলা ও বড়খাপন; পূর্বধলার জারিয়া ধলামূলগাঁও; নেত্রকোনা সদরের কালিয়ারাগাবরাগাতি, মৌগাতি, মেদনি; বারহাট্টার বাউসী ও রায়পুর ইউনিয়ন। এসব ইউনিয়নের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পুকুরসহ আমনের খেত ডুবে গেছে। আজ সকালে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রায় ৫৮ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। জারিয়া ইউনিয়নের জামিয়া নাটেরকোনা মাদ্রাসা ও নাটেরকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৯টি এবং কুল্লাগড়ার পশ্চিম কাকড়াকান্দা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে ২০টি পরিবার ঠাঁই নিয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে ১৮ হাজার ১০৪ হেক্টর জমির আমন ধান।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, বন্যার পানির কারণে ১৮৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে।