বিদ্যালয় ছাড়ছে শিক্ষার্থীরা
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫১১। পরের বছরগুলোয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। ২০২২ সালে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী কমে দাঁড়ায় ৪৭২ জনে। ২০২৩ সালে সে সংখ্যা অর্ধেকের বেশি কমে, এটি হয় ১৭৭। চলতি বছর ১২৩ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে (মাটির মসজিদ সড়ক) জমে আছে প্রায় হাঁটুসমান পানি। সেই পানি থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, ভাসছে ময়লা-আবর্জনা। এই পানি মাড়িয়েই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের নিচতলায় তিনটি কক্ষ। নিচতলার শ্রেণিকক্ষ দুটির দরজা গতকাল বন্ধ ছিল। ভেতরে জমে ছিল নোংরা পানি। শিক্ষকেরা জানান, পানি সেচলেও আবার মেঝে থেকে পানি উঠে আসে। তাই গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ওই কক্ষগুলোয় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। দোতলার তিনটি কক্ষে এখন পাঠদান করা হচ্ছে।
শিক্ষক কামরুন নাহার প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিদিন এই নোংরা পানি মাড়িয়ে আসতে হয়। বাসা থেকে বোতলে পানি নিয়ে আসি। স্কুলে ঢুকে ওই পানি দিয়ে কোনোমতে পা ধুয়ে নিই।’