প্রথম আলো :
আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। জীবনের এই সময়ে এসে জীবনটা নিয়ে কী উপলব্ধি হয়?
ববিতা: ধন্যবাদ। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত। গেল বেশ কিছুদিন দেশ ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। আত্মীয়স্বজন সবই তো দেশের বাইরে। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়, খোঁজখবর নিতে হয়। কিন্তু পারিনি। এখনো সেভাবে পারছি না। তাই মনটা খারাপ আরকি। এই সময়ে এসে ইন্টারনেট বন্ধ করাটা তো মোটেও যৌক্তিক নয়।
প্রথম আলো :
এই সময় জন্মদিনে কেমন উদ্যাপন হয়?
ববিতা: আয়োজন করে জন্মদিন কখনোই উদ্যাপন করিনি। আমি মনে করি, এ নিয়ে এত হইচই করার কিছু নেই। মনে হয়, জীবন একটাই, এখনো অনেক কিছু করার আছে। কী করতে পারলাম না, এসব নিয়ে ভাবি। কয়েক বছর ধরে জন্মদিনে ঢাকায় থাকলে সুবিধাবঞ্চিত অনেক শিশু আমার বাসায় আসে। গান শোনায়, আড্ডা দেয়, ওদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খাই। ছোট বোন চম্পা ও বড় বোন আসেন, এ-ই যা!
প্রথম আলো :
এই যে উদ্যাপন কমে যাওয়া, এতে কি চিন্তা বা ভয় হয়?
ববিতা: ভয় লাগার কিছু নেই। নিয়মিত ইবাদত করি, প্রতিদিন একবার মৃত্যুর কথা ভাবি। আমার খুব ইচ্ছা, আমাকে যেন বাবার কবরে সমাহিত করা হয়। আমার আব্বা বনানী কবরস্থানে ঘুমিয়ে আছেন।