নেতানিয়াহুর ওয়াশিংটন ভ্রমণ অবশ্যই অতি প্রয়োজনীয় হিসেবে চিহ্নিত হবে। ইসরায়েলের আইনসভা নেসেটের আইনপ্রণেতাদের মধ্যে নেতানিয়াহু অনেক বেশি জনপ্রিয়।
ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন নেতানিয়াহু। এটা তাঁর মধ্যে এতটা অহম ও অন্ধত্বের জন্ম দিয়েছে যে তিনি বিশ্বে ইসরায়েলের ভাবমূর্তিকে ধসিয়ে দিয়েছেন। তিনি এখনো বিশ্বাস করেন, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে তিনি তাঁর প্রভাব দিয়ে ইসরায়েল ও তাঁর নিজের জন্য ভালো কিছু নিয়ে আসতে পারেন।
গত রোববার হঠাৎ প্রেসিডেন্ট প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দেন জো বাইডেন। এর আগপর্যন্ত ইসরায়েলের বুদ্ধিজীবীরা বিশ্বাস করতেন, রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন আর নেতানিয়াহু রিপাবলিকানদের কাছে প্রিয়পাত্র হয়ে উঠবেন।
কিন্তু বাইডেনের আকস্মিক ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক দৃশ্যপট পাল্টে দিল। ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি আচরণের কঠোর সমালোচক, তিনি এখন ডেমোক্র্যাটদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। ফলে ট্রাম্পের ভূমিধস বিজয়ের সম্ভাবনা কমে গেছে।