তমাল মাঝারি আকারের বৃক্ষ। এটি বনগাব, মহেশকাণ্ড ইত্যাদি নামেও পরিচিত। তমালগাছের বৈজ্ঞানিক নাম Diospyros cordifolia, এটি Ebenaceae পরিবারের সদস্য। এর আদি নিবাস মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের উষ্ণ অঞ্চল। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া ও চীনেও তমালগাছ রয়েছে। ঢাকার রমনা পার্ক ও বোটানিক্যাল গার্ডেনে কয়েকটি অপরিণত গাছ আছে। বেনাপোল পাঠবাড়ী আশ্রম, ঠাকুরগাঁও গোবিন্দজীউ মন্দির, দিনাজপুর রাজবাড়ী কালিয়া কান্তজীউ মন্দির প্রাঙ্গণে এ গাছ রয়েছে। মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের কাছে যাওয়ার আগে পথের বাঁ পাশে মহাদেবের মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে আছে একটি তমালগাছ। এ ছাড়া বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনে, ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্রতীরের জয়নুল উদ্যানের প্রবেশপথের পূর্ব পাশে এবং কাচিঝুলিতে বন বিভাগের বিভাগীয় কার্যালয়ের উল্টো দিকে একটি তমালগাছ রয়েছে। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-৪ অনুযায়ী এ প্রজাতি সংরক্ষিত। এটি একটি মহাবিপন্ন উদ্ভিদ।
বৈষ্ণব কবিতা, লোকগীতিতে তমাল মর্যাদার সঙ্গে আসীন। তমালগাছের বাকলের রং কালো আর কৃষ্ণের গায়ের রংও কালো, তাই তমাল শ্রী রাধারও প্রিয়।
‘না পুড়াইও রাধার অঙ্গ
না ভাসাইও জলে,
মরিলে বাঁধিয়া রেখো
তমালেরই ডালে’