নাজমুল হোসেনের চোখেমুখে বিস্ময়। বলটা অফ স্পিন হবে—এমন বুঝে অফ সাইডে ব্যাট চালালেন। কিন্তু বল ঢুকল ভেতরে, ইনসুইং!
ঠিকই পড়েছেন। বলটা অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে সুইং করে এসেছে বাঁহাতি নাজমুলের প্যাডে। প্রশ্ন হলো, অফ স্পিনারের বল সুইং করে কীভাবে? সুইং তো হয় পেসারদের বলে!
সে রহস্য ভেদ করার আগেই ইয়াসির আলী স্টাম্পড। এবার আলিসের আউটসুইংয়ের ফাঁদ। ইয়াসির ডানহাতি, তাঁর সামনে দিয়ে বলটি বেরিয়ে গেল আর তাতে যে–কেউ বোলারকে নিয়ে ধন্দে পড়তে পারেন।
বলা হচ্ছে আলিস আল ইসলামের কথা। ক্রিকইনফো প্রোফাইলে যাঁর পরিচয় ‘ডানহাতি অফ স্পিনার’। এবারের বিপিএলে তাঁর দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। কাল সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ১৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা ২৭ বছর বয়সী এই স্পিনার।
আলিসকে শুধু স্পিনার বললে তাঁর সামর্থ্যের পুরো ছবিটা পাওয়া যায় না।। আলিসের মতো খেলোয়াড়দের ভারতীয় অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন শুধু ‘বোলার’ হিসেবেই আখ্যা দিতে চান। কারণ, তাঁরা বলটাকে শুধু স্পিন করান না। সুইং, এমনকি সিমও করাতে পারেন। অজন্তা মেন্ডিস, সুনীল নারাইন, মহীশ তিকশানারা এ ঘরানার বোলার।
জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজাও সম্প্রতি নিজের বোলিং পাল্টে মেন্ডিস বা নারিনদের পথে হাঁটছেন। ক্রিকেটের ভাষায় তাঁরা ‘মিস্ট্রি স্পিনার’, বাংলায় বলতে পারেন রহস্য-স্পিনার। বাংলাদেশে আলিসও সে রকমই একজন। আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁর মতো বোলাররা কতটা কার্যকরী হতে পারে, তা তো গতকালই দেখা গেল।