অবশ্য আরেকটু বেশি অতীতে ফিরে গিয়ে যদি ২০২২ সালের মে মাসে এ মাঠে ড্র হওয়া শ্রীলঙ্কা টেস্টটার দিকে তাকান, তিন ইনিংসও পুরো হতে না পারা ওই টেস্টে শতরান ছিল তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের। আরও পেছনে যান…২০১৮। দুই ইনিংসেই মুমিনুল হকের শতরান, প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর রহিমের ৯২, মাহমুদউল্লাহর ৮৩, লিটনের ৯৪। বাংলাদেশের তিনটি শতক (শামসুর রহমান, ইমরুল কায়েস ও মুমিনুল হক) ছিল ২০১৪ সালে ড্র হওয়া টেস্টেও। অবশ্য ও রকম ব্যাটিংয়ের পরও টেস্টগুলো বাংলাদেশ কেন জেতেনি, তা তো বুঝতেই পারছেন। শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানদেরও নিরাশ করেনি চট্টগ্রামের উইকেট।
তবু ব্যাট হাতে কম্পমান বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের রানে ফেরার আশায় আত্মবিশ্বাসের প্রবাহ তো দিতেই পারে সর্বশেষ তিন টেস্টের স্কোরকার্ড। তারপর না হয় ফলাফলের চিন্তা। এটাও জানা কথা যে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংটা খুব খারাপ না হলে এখানে ফলাফল বাংলাদেশের দিকে আনাটাও কঠিন। সেটা চিন্তা করেই হয়তো বাংলাদেশ আগে অন্তত মাঝামাঝি অবস্থানটা নিশ্চিত করতে চাইছে। তারপর বাকি কাজটা বোলাররা করে দিলে তো ভালোই।
নাজমুল হোসেন এমন কথায় আপত্তি করতে পারেন। কারণ, সিলেটে হারার পরও চট্টগ্রাম টেস্ট নিয়ে সেখানেই অধিনায়ক বলে এসেছেন, ড্রয়ের উদ্দেশ্য গা বাঁচানো নিরাপদ ক্রিকেট নয়, চট্টগ্রামে বাংলাদেশ খেলবে জেতার জন্যই।