অভিযোগগুলো প্রমাণিত হওয়ার অর্থ সিটি নিয়ম–নীতি ভঙ্গ করেছে। আর সেই ভঙ্গের সুফল হিসেবে দলটি অভিযুক্তকালীন সময়ে টানা তিনটিসহ মোট ৭টি প্রিমিয়ার লিগ জিতেছে, ২০২২–২৩ মৌসুমে জিতেছে ট্রেবলও। সিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দলটির জেতা ট্রফি বাদ যেতে পারে, জয়ী ঘোষণা করা হতে পারে সংশ্লিষ্ট প্রতিযোগিতাগুলোয় পরের অবস্থানে থাকা দলকে। এ ছাড়া প্রিমিয়ার লিগ থেকে নামিয়ে দেওয়া বা নির্দিষ্ট সময়ের নিষেধাজ্ঞাও দেখা যেতে পারে।
এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ঘটতে পারে পেপ গার্দিওলার সিটি ছেড়ে চলে যাওয়া, বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করা শেখ মনসুরের ফুটবল থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা, এমনকি ‘স্পোর্টশ ওয়াশিং’ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, সেটিতে বড় ধাক্কা লাগা। সবচেয়ে বড় যে প্রভাব পড়তে পারে, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে তাদের অন্যতম বাণিজ্যসঙ্গী সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্কে অবনতি। সিটির মালিক শেখ মনসুরের ভাই এখন আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট।
বিপরীতে সিটি যদি অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি পায়, প্রিমিয়ার লিগে আর্থিক নীতিমালা কঠোরভাবে পরিপালনের বিষয়টি দীর্ঘমেয়াদে ভাবমূর্তি সংকটে পড়তে পারে।